সহীহ বুখারীর ৪০ টি হাদিস

হাদিস মুখস্থ করার অনেক ফযীলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির মুখ উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন কথা শুনেছে, অতঃপর এ কথাকে স্মরণ রেখেছে ও রক্ষা করেছে এবং যা শুনেছে হুবহু তা মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে দিয়েছে (তিরমিযী হা/২৬৫৮)। বিদায় হজ্জের ভাষণ শেষে তিনি বলেন, উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিতদের নিকট (আমার এ বাণীসমূহ) পৌঁছে দেয় (বুখারী হা/৬৭)। নিচে সহীহ বুখারীর ৪০ টি হাদিস তুলে ধরা হলো

৪০ টি হাদিস


১। আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ 

নিয়ত:  প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য। 

হাদিস নাম্বারঃ ১ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

ইসলামের ভিত্তি: ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।

  • ১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ আল্লাহ্‌র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।
  • ২। সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা
  • ৩। যাকাত দেওয়া
  • ৪। হাজ্জ (হজ্জ) করা এবং
  • ৫। রামাদান এর সিয়াম পালন করা।

হাদিস নাম্বারঃ ৭ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩। মুহাম্মদ ইবনু সিনান (রহঃ) ও ইবরাহীম ইবনুল মুনযির (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ 

কিয়ামত কবে হবে: একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসে লোকদের সামনে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে একজন বেদু্ঈন এসে প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কবে হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আলোচনায় রত রইলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি যা বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেন নি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পান নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা শেষ করে বললেনঃ কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বলল, এই যে আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ যখন আমানত নষ্ট করা হয় তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে। সে বলল, কিভাবে আমানত নষ্ট করা হয়? তিনি বললেনঃ যখন কোন কাজের দায়িত্ব অনুপযুক্ত লোকের প্রতি ন্যাস্ত হয়, তখন তুমি কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে।

হাদিস নাম্বারঃ ৫৭ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৪। ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) …. নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ 

ওজু: ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।

হাদিস নাম্বারঃ ১৩৮ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৫। আবূল ওয়ালীদ হিশাম ইবনু আবদুল মালেক (রহঃ) …. আবূ আমর শায়বানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর বাড়ীর দিকে ইশারা করে বলেন, এ বাড়ীর মালিক আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, 

আল্লাহর প্রিয় আমল:  আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন্ আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, এরপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরপর জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্ (আল্লাহর পথে জিহাদ)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এগুলো তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনই, যদি আমি আরও বেশী জানতে চাইতাম, তাহলে তিনি আরও বলতেন।

হাদিস নাম্বারঃ ৫০২ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৬। ইসহাক ইবনু রাহওয়াই (রহঃ) … ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) বলেছেনঃ আমার কোন ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, 

আযানঃ মুয়ায্‌যিন যখনحَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ  ‏ বলল, তখন তিনি [মু’আবিয়া (রাঃ)  لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ বললেন। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমরা এরূপ বলতে শুনেছি।

হাদিস নাম্বারঃ ৫৮৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

জুম্মাঃ তোমাদের মধ্যে কেউ জুম্মার সালাতে আসলে (তার আগে) সে যেন গোসল করে।

হাদিস নাম্বারঃ ৮৩৩ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৮। মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহীম (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

ঈদুল ফিতরঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক রিওয়াতে আনাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তা বেজোড় সংখ্যক খেতেন।

হাদিস নাম্বারঃ ৯০৫ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৯। শিহাব ইবনু আব্বাদ (রহঃ) … আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

সূর্যগ্রহণঃ কোন লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহন বা চন্দ্রগ্রহন হতে দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।

হাদিস নাম্বারঃ ৯৮৪ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১০। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্‌শার (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন 

সিজদাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় সূরা আন্-নাজম তিলওয়াত করেন। এরপর তিনি সিজদা করেন এবং একজন বৃদ্ধ লোক ছাড়া তাঁর সঙ্গে সবাই সিজদা করেন। বৃদ্ধ লোকটি এক মুঠো কংকর বা মাটি হাতে নিয়ে কপাল পর্যন্ত উঠিয়ে বলল, আমার জন্য এ যথেষ্ট। আমি পরবর্তী যামানায় দেখেছি যে, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছে।

হাদিস নাম্বারঃ ১০০৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১১। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

কসরঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সফরে উনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) কসর করেন। কাজেই (কোথাও) আমরা উনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চাইতে বেশী হলে পুরোপুরি সালাত আদায় করি।

হাদিস নাম্বারঃ ১০১৯ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১২। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 

তাহাজ্জুদঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদের) এগার রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজ্‌দা এত পরিমাণ (দীর্ঘায়িত) করতেন যে, তোমাদের কেউ (সিজ‌্দা থেকে) তাঁর মাথা তোলার আগে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফরয) সালাতের আগে তিনি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি ডান কাঁতে শুইতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তাঁর কাছে মুয়ায্‌যিন আসতো।

হাদিস নাম্বারঃ ১০৫৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৩। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) … আবূ যার্‌ (গিফারী) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

শিরকঃ একজন আগন্তুক [জিব্‌রীল (আলাইহিস সালাম)] আমার রব-এর কাছ থেকে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছিলেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যাক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে দাখিল হবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে।

হাদিস নাম্বারঃ ১১৬৫ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৪। মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, 

মুসলিমের হক্‌ঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্‌ পাঁচটিঃ 

  • ১. সালামের জওয়াব দেওয়া, 
  • ২. অসুস্থ ব্যাক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া, 
  • ৩. জানাযার অনুগমন করা, 
  • ৪. দাওয়াত কবূল করা এবং 
  • ৫. হাঁচিদাতাকে খুশি করা।

হাদিস নাম্বারঃ ১১৬৮ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৫। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, 

ঈর্ষাঃ কেবল মাত্র দু’ধরনের ব্যাক্তির প্রতি ঈর্ষা রাখা যেতে পারে, একজন এমন ব্যাক্তি যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন এবং ন্যায়পথে তা ব্যয় করার মত ক্ষমতাবান বানিয়েছেন। অপরজন এমন ব্যাক্তি যাকে আল্লাহ দ্বীনের জ্ঞান দান করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা দেন ও অন্যান্যকে তা শিক্ষা দেন।

হাদিস নাম্বারঃ ১৩২৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৬। আদম (রহঃ) … হারিসা ইবনু ওহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেত শুনেছি, 

সা’দকাঃ তোমরা সা’দকা কর, কেননা তোমাদের ওপর এমন যুগ আসবে যখন মানুষ আপন সা’দকা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে কিন্তু তা গ্রহন করার মত কাউকে পাবে না। (যাকে দাতা দেওয়ার ইচ্ছা করবে সে) লোকটি বলবে, গতকাল পর্যন্ত নিয়ে আসলে আমি গ্রহন করতাম। আজ আমার আর কোন প্রয়োজন নেই।

হাদিস নাম্বারঃ ১৩২৮ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৭। আদম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ 

হজ্জঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হাজ্জ (হজ্জ) করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু, যাকে তাঁর মা এ মুহূর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে।

হাদিস নাম্বারঃ ১৪৩১ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৮। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

রোযাঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুন।

হাদিস নাম্বারঃ ১৭৭৩ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


১৯। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

তারাবীহর সালাতঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রমযান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমযান অর্থ্যাৎ তারাবীহর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।

হাদিস নাম্বারঃ ১৮৮২ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, 

মানতঃ ’উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি জাহিলিয়্যা যুগে মসজিদুল হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম। তিনি (উত্তরে) বললেনঃ তোমার মানত পুরা কর।

হাদিস নাম্বারঃ ১৯০৪ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২১। আবূ আসিম (রহঃ) … সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, 

ঋণঃ একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সালাতে জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগণ বললেন, না। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগন বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমাদের সাথীর সালাত জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার ঋণের দায়-দায়িত্ব আমার উপর। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২১৪৮ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২২। আবদুল্লাহ‌ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবূ সাইদ খুদরী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, 

খেজুর বদলঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে খায়বারের শাসক নিয়োগ করলেন। তিনি বেশ কিছু উন্নতমানের খেজুর তাঁর নিকটে নিয়ে আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খায়বারের সব খেজুরই কি এরকম? তিনি বললেন, ’আমরা দু’ সা’র বদলে এর এক সা’ কিনে থাকি কিংবা তিন সা’র বদলে দু’ সা’ কিনে থাকি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরূপ কর না। মিশ্রিত খেজুর দিরহাম নিয়ে বিক্রি কর। তারপর এ দিরহাম দিয়েই উন্নতমানের খেজুর ক্রয় কর। ওযনে বিক্রয়যোগ্য বস্তুসমূহের ব্যাপারেও তিনি অনুরূপ বলেছেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২১৫৫ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

২৩। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবদুর রহমান ইবনু মুবারক (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 

গাছ রোপণঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন মুসলিম ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোন ফসল ফলায় আর তা থেকে পাখী কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায় তবে তা তার পক্ষ থেকে সাদকা বলে গণ্য হবে। মুসলিম (রহঃ) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

হাদিস নাম্বারঃ ২১৬৯ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৪। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ উয়াযসী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

ধারঃ যে ব্যাক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’আলা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার নিয়্যাতে আল্লাহ তা’আলা তাকে ধ্বংস করেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২২২৯ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৫। আবূ ওয়ালীদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 

পাওনা আদায়ঃ জনৈক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তার পাওনা আদায়ের কড়া তাগাদা দিল। সাহাবায়ে কিরাম তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলেন। তিনি বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, পাওনাদারের কথা বলার অধিকার রয়েছে। তার জন্য একটি উট কিনে আন এবং তাকে তা দিয়ে দাও। তাঁরা বললেন, তার উটের চাইতে বেশী বয়সের উট ছাড়া আমরা পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটিই কিনে তাকে দিয়ে দাও। কারণ, তোমাদের উত্তম লোক সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৩২ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৬। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 

ধোঁকাঃ তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে এক ব্যাক্তিকে ধোঁকা দেওয়া হত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যখন বেচা-কেনা কর তখন বলে দেবে যে, ধোঁকা দিবে না। এরপর সে এ কথাই বলত।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৫৪ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৭। আদম মুহাম্মদ ইবনু বাশ্‌শার (রহঃ) … উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসঃ আমি একটি থলে পেয়েছিলাম। যার মধ্যে একশ’ দীনার ছিল এবং আমি (এটা নিয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এক বছর পর্যন্ত ঘোষণা দাও। আমি তাই করলাম। কিন্তু এটি সনাক্ত করার মত লোক পেলাম না। তখন আবার তাঁর কাছে এলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আরো এক বছর ঘোষণা দাও। আমি তাই করলাম। কিন্তু কাউকে পেলাম না। আমি তৃতীয়বার তাঁর কাছে এলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, থলে ও এর প্রাপ্ত বস্তুর সংখ্যা এবং এর বাঁধন স্মরণ রাখো। যদি এর মালিক আসে তাকে দিয়ে দিবে। নতুবা তুমি তা ভোগ করবে। তারপর আমি তা ভোগ করলাম। (শু’বা (রহঃ) বলেছেন) আমি এরপর মক্কায় সালামা (রহঃ) এর সঙ্গে দেখা করলাম, তিনি বললেন, তিন বছর কিংবা এক বছর তা আমার মনে নেই।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৬৫ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৮। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

মুসলিম মুসলিমের ভাইঃ মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পুরণ করবে আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যাক্তি (পৃথিবীতে) কোন মুসলিমের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যাক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৮০ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


২৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

যুলুম করতে দিবে নাঃ তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে জালিম হোক অথবা মাজলুম। তিনি (আনাস) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মাজলুমকে সাহায্য করব, তা তো বুঝলাম। কিন্তু জালিমকে কি করে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে (অর্থাৎ তাকে যুলুম করতে দিবে না)।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৮২ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩০। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 

মাজলুমের ফরিয়াদকঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুআয (রাঃ) কে ইয়মানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৮৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩১। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

জুলুমঃ যে ব্যাক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রম হানী বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করায়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোনো সৎকর্ম থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৮৭ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩২। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, 

জমি দখলঃ যে ব্যাক্তি কারো জমির অংশ জুলুম করে কেড়ে নেয়, কিয়ামতের দিন এর সাত তবক যমীন তার গলায় লটকিয়ে দেওয়া হবে।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৯০ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৩। আবূ আসিম (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

ঝগড়াঃ আল্লাহর নিকট সেই লোক সবচেয়ে বেশী ঘৃণিত, যে অতি ঝগড়াটে।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৯৫ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৪। বিশর ইবনু খালিদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

মুনাফিকঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে, এ চারটি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। 

  • (১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, 
  • (২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে 
  • (৩) যখন চুক্তি করে তা লংঘন করে 
  • (৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।

হাদিস নাম্বারঃ ২২৯৭ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৫। আবূ নুআইম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

বন্ধকঃ বন্ধকী প্রাণীর উপর তার খরচ পরিমাণ আরোহণ করা যাবে। তদ্রুপ দুধেল প্রাণী বন্ধক থাকলে (খরচ পরিমাণ) তার দুধ পান করা যাবে।

হাদিস নাম্বারঃ ২৩৪৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৬। আসিম ইবনু আলী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

হাদিয়াঃ হে মুসলিম মহিলাগণ! কোন মহিলা প্রতিবেশিনী যেন অপর মহিলা প্রতিবেশিনী (প্রদত্ত হাদিয়া) তুচ্ছ মনে না করে, এমন কি স্বল্প মাংস বিশিষ্ট বকরীর হাঁড় হলেও।

হাদিস নাম্বারঃ ২৩৯৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৭। খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, 

অগ্রাধিকারঃ তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এই ঘরে আগমন করেন এবং কিছু পান করতে চাইলেন। আমরা আমাদের একটা বকরীর দুধ দোহন করে তাতে আমাদের এই কুয়ার পানি মিশালাম। তারপর তা সম্মুখে পেশ করলাম। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন তাঁর বামে, উমর (রাঃ) ছিলেন তাঁর সম্মুখে, আর এক বেদুঈন ছিলেন তাঁর ডানে। তিনি যখন পান শেষ করলেন, তখন উমর (রাঃ) বললেন, ইনি আবূ বকর (তাঁকে দিন); কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেদুঈনকে তার অবশিষ্ট পানি দান করলেন। এরপর বললেন, ডান দিকের লোকদেরই (অগ্রাধিকার) ডান দিকের লোকদের (অগ্রাধিকার) শোন! ডান দিক থেকেই শুরু করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, এই সুন্নাত, এই সুন্নাত, তিনবার বললেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২৪০১ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৮। আবূ নুআইম (রহঃ) … যিয়াদ ইবনু ইলাকা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জারীর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, 

কল্যাণ কামনারঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বায়আত গ্রহন করলাম। তিনি আমাকে প্রত্যেক মুসলিমের প্রতি কল্যাণ কামনার শর্ত আরোপ করলেন।

হাদিস নাম্বারঃ ২৫৩১ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৩৯। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

বর্গা চাষীঃ আনসারীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন ’আমাদের ও আমাদের (মুহাজির) ভাইদের মধ্যে খেজুর গাছ ভাগ করে দিন।’ তিনি বললেন, না। তখন তাঁরা বললেন, ’তোমরা আমাদের শ্রমে সাহায্য করবে আর তোমাদের আমরা ফলের অংশ দিব।’ তারা (মুহাজিরগণ) (রাঃ) বললেন, ’আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম।’

হাদিস নাম্বারঃ ২৫৩৬ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


৪০। কুতাইবা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

আল্লাহর করুণাঃ আল্লাহ যখন সৃষ্টি কার্য সমাধা করলেন, তখন তিনি তাঁর কিতাব লাওহে মাহফুজে লিখেন, যা আরশের উপর তাঁর কাছে বিদ্যমান। নিশ্চই আমার করুণা আমার ক্রোধের চেয়ে প্রবল।

হাদিস নাম্বারঃ ২৯৬৭ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)


ইসলামিক কুইজ: লেভেল ১ থেকে ১০ পর্যন্ত ৫০০ টি প্রশ্নের ইসলামিক কুইজ আয়োজন করেছি। এই কুইজে অংশগ্রহণ করে দেখে নিতে পারেন ইসলামের ব্যাপারে আপনার জ্ঞান কতটা। ইসলামিক কুইজে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি আপনি দেখতে পারেন। এখানে ইসলামিক এবং সমসাময়িক বিশ্বের বিভিন্ন কিছুর ব্যাপারে অনেক ভিডিও পেয়ে থাকবেন। আশা করি ভিডিওগুলো আপনাদের ভাল লাগবে। এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top